Shojirul123 Subscriber 2 years ago |
১) ধূমপান বন্ধ করা (২) ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা (৩) চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া অর্থাৎ যাদের শরীরে রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি তাদের চর্বি কমানোর ব্যবস্থা নেয়া (৪) নিয়মিত ব্যায়াম করা (৫) স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা না করা ইত্যাদি।
এখন আসুন যখন একজন ব্যক্তি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শরীরে একপাশ প্যারালাইসিস বা পক্ষঘাগ্রস্ত হয়ে গেলেন অর্থাৎ তার করণীয় কী?
অনেকেরই ধারণা এই ধরনের প্যারালাইসিসের কোনো চিকিৎসা নেই, এটা একেবারেই ভুল কথা। এখন বিশ্বে খুবই উন্নতমানের চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছে যা বাংলাদেশে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশা করি শুরু হবে, সেটি হলো, একটি রোগী স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যে যদি তার রোগ নির্ণয় করা যায় যে ইস্কেমিক স্ট্রোকের কারণে প্যারালাইসিস হয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে থ্রম্বো এম্বোলিক এজেন্ট ইনজেকশন আকারে দিলে রোগী খুবই দ্রুত সুুস্থ হয়ে যেতে পারে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সচেতনতার অভাবে দেরিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন যার ফলে, এই সুযোগটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এখন বলতে পারেন, যে রোগীটি স্ট্রোক-পরবর্তী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হলেন তার আবার পূর্বের জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ আছে কি?
হ্যাঁ, সুযোগ আছে কিন্তু যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং নির্ণয় করতে হবে কী ধরনের স্ট্রোকে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন এবং নির্ণয় পরবর্তী চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা দুই ধরনের,
১. মেডিসিন বা সার্জারি যা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রেইনের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে ইস্কেমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, হোমোরেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে রক্ত সরানোর জন্য কিছু কিছু রোগীর অপারেশনে এর প্রয়োজন পড়ে
২. পুনর্বাসন চিকিৎসা-এটি একটি সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন রোগীর ফিজিক্যাল বিহ্যাবিলিটেশন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন অকুপেশনাল রিহ্যাবিলিটেশন, আবার কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কথা বলতে অসুবিধা দেখা দেয় যা মেডিকেল পরিভাষার এফাশিয়া বলা হয়ে থাকে তার ক্ষেত্রে প্রয়োজন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ পুনর্বাসন, তাই পুনর্বাসন চিকিৎসাটি হওয়া উচিত একটি মাল্টিডিসিলিনারি টিম অ্যাপ্রোচ যার মাধ্যমে একটি রোগী যেন তার সব অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং এই সমন্বিত চিকিৎসা পেলে একজন রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
Alert message goes here