Saidur Trainer 2 years ago |
ডিমের কুসুম শরীর ও স্বাস্থ্যে যে প্রভাব ফেলে
ডিম বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। আমাদের ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কম পয়সায় এমন পুষ্টির উৎস খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই বলা হয়- সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে। তবে বর্তমানে মানুষ অতিরিক্তি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গিয়েছেন। তারা স্বাস্থ্য সচেতনতার নামে বাদ দিচ্ছেন কিছু জরুরি খাবার।
এখন একটা ফ্যাশন আপনি দেখতে পাবেন সর্বত্র। কিছুজন পুরো ডিম খাচ্ছেন না। বরং ডিমের সাদা অংশটা খেয়ে, ফেলে দেন কুসুম। তাদের কথায়, ডিমের কুসুম নাকি খারাপ। তাই খান না। যদিও এই কথাটা একদমই উড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা জানাচ্ছেন, ডিমের কুসুম খেতে হবে। যারা সুস্থ তারা তো খেতেই পারেন। ডিমর কুসুমে রয়েছে নানা ভিটামিন ও খনিজ। এই দুইয়ের মেলবন্ধনে ডিমের কুসুম দারুণ এক খাবার।
কুসুমের উপকার: মেডিকেল নিউজ টুডে বলছে, ডিমের কুসুমে থাকে ফসিভিটন নামক প্রোটিন। এই প্রোটিন কিন্তু শরীর থেকে এমন পদার্থ বের করে দেয় যা প্রদাহ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা হয় কম।
ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়: মনে রাখবেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে বহু সংক্রামক ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই ইমিউনিটি বাড়িয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম কিন্তু ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। এতে রয়েছে সালফেটেড গ্লাইকোপেপটাইডস। এই উপাদান কিন্তু ইমিউনিটি বাড়ায়।
ব্লাড প্রেশার কমায়: এখন প্রচুর মানুষের ব্লাড প্রেশার রয়েছে নাগালের বাইরে। হাইপারটেনশনে আক্রান্ত এই রোগীদের জন্য ডিমের কুসুম কার্যকরী এক হাতিয়ার হতে পারে। এতে থাকা পেপটাইডস নামক উপাদানটি হাই ব্লাড প্রেশার কমায়। এমনকী বহু কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে।
চোখের সমস্যা দূর করে: ডিমের কুসুমে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন। এই দুই উপাদান কিন্তু দারুণ কার্যকরী চোখের জন্য। এছাড়া এতে থাকা ক্যারোটিনয়েডস ছানি ও মাসকুলার ডিজেনারেশন দূর করে দেয়। তাই এই খাবার খান।
কীভাবে খাবেন: ডিম সিদ্ধ করে খান। আধ সিদ্ধ অবস্থায় খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া দিনে একটার বেশি ডিম নয়। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিমের কুসুম খান।
Alert message goes here