Shojirul123 Subscriber 2 years ago |
আপেলে উপকারিতা
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্ন্যাকস বা নাস্তা হিসেবে যদি এমন কিছু খাওয়া যায় আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হবে তবে তো সোনায় সোহাগা। আপেল ঠিক সেই কাজটিই করে। এতে আছে পানি আর ভোজ্য আঁশ, যা পেট ভরা রাখে লম্বা সময়। যেকোনো বেলার খাবার খাওয়ার আগে কয়েক টুকরা আপেল খেয়ে নিলে পেট ভরবে অল্পতেই। ফলে প্রায় ২০০ ক্যালরি পর্যন্ত কম গ্রহণ করবেন।
স্নায়ুবিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান ‘কোয়েরসেটিন’য়ের মাঝে ‘নিউরোপ্রোটেক্টিভ’ প্রভাব পেয়েছেন গবেষকরা। ফলে আপেল নিয়মিত খাওয়ার কারণে মস্তিষ্কের ‘নিউরন’গুলো আরও বেশিসময় কর্মক্ষম থাকবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: আপেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। আর বর্তমান মহামারীর সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রত্যেকেরই পরম বন্ধু। এখানেও পর্দার আড়ালে কাজ করে ‘কোয়েরসেটিন’, যা প্রদাহ কমাতেও সহায়ক হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আপেল খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া চলবে না।
হৃদরোগের ঝুঁকি: হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে আপেল নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি হয় না। তবে এর উপকারিতা মোটেই অবহেলার যোগ্য নয়। পাশাপাশি আপেলে থাকা ‘ফ্লাভানয়েড’ ‘স্ট্রোক’য়ের ঝুঁকি কমায় প্রায় ২০ শতাংশ। আবার কোলেস্টেরল কমাতেও আপেলের ভূমিকা আছে।
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যে: অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষের চিন্তা থাকে কমই। তবে প্রতিদিন আপনার মন মানসিকতা কেমন থাকবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপরেই। হুটহাট পেট ব্যথা, পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির ব্যাখ্যা হয়ত অন্ত্রের সমস্যাই। অন্ত্রের অবস্থা ভালো রাখতে কার্যকর একটি ‘প্রোবায়োটিক’ উপাদান হল ‘পেকটিন’ যা মেলে আপেল থেকে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আপেল হতে পারে আপনার ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার চাবিকাঠি, বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন কিংবা আগে করতেন। ফুসফুস ক্যান্সার বিষয়ক একাধিক গবেষণা এমনটাই দাবি করে। এতে ‘ফাইটোকেমিকেল’ ও আঁশ থেকে ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’য়ের সুবিধা মেলে, যা কোষকে বিভিন্ন ক্ষয় থেকে সুরক্ষা দেয়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: প্রতি সপ্তাহের কয়েকটি আপেল খাওয়া আপনাকে ডায়াবেটিসের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে। আবার প্রতিদিন একটা খেতে পারলে আরও ভালো, এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে প্রায় ২৮ শতাংশ, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষা: আপেলকে প্রতিদিন খাদ্যাভ্যাসে যোগ করার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে এই ফল বা ফলটির কোনো উপাদানে আপনার অ্যালার্জি আছে কি না। যদিও এমনটা হওয়া বেশ দুর্লভ, তবে সাবধানের মার নেই। আপেল খাওয়ার পর ত্বকের কোথাও ফুলে ওঠা, চুলকানি, জিভ চুলকানো ইত্যাদি দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার অ্যালার্জি আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হাঁপানির তীব্রতা কমাতে: নিয়মিত কী পরিমাণ আপেল খাচ্ছেন সেটার ওপর নির্ভর করে হাঁপানির সমস্যা কমে। ‘অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রায় ৬৮ হাজার নারীকে নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, যারা দিনে একটি আস্ত আপেল গ্রহণ করেছেন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তাদের হাঁপানির তীব্রতা কমেছে সবচাইতে বেশি। যারা দিনে একটি আপেলের ১৫ শতাংশ খেয়েছেন তাদের রোগের তীব্রতা কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
দাঁত সাদা করে: আপেল দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতেও বেশি কার্যকর। আপেল চিবানো সময় তা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা এবং দাঁতের ওপরের হলদেটে আস্তর পরিষ্কার করে। আপেলে অম্লীয় গুণই এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
Alert message goes here