Saidur Trainer 2 years ago |
* শিশুর পেটব্যথা হলে ৩০-৬০ ফোঁটা পাথরকুচি পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
*পুরান সর্দির ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে, তিন চা-চামচের সঙ্গে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে দুই চা চামচ নিয়ে সকালে ও বিকেলে দুইবার খেলে পুরান সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
* পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার ২ থেকে ৩টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
* অনেক সময় পেট ফুলে যায়, প্রস্রাব আটকে থাকে, আধো বায়ু সরে না, সেক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে, আধো বায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে।
* সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানা স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। যাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচির রস এক চামচ করে সকাল-বিকেল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
* পিত্তজনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে দুই বেলা এক চা চামচ করে এই রস দুই দিন খেলে সেরে যাবে।
* মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথরকুচির রস ২-১ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
* টাটকা পাতা পরিমাণ মতো হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেঁতলে যাওয়া স্থানে সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
* পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* লিভারের যে কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
* দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুই বেলা খেলে উপশম হয়।
* বিষাক্ত পোকা কামড়ালে এ পাতার রস আগুনে ছেঁকে লাগালে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়।
* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মূত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
Alert message goes here