Saidur Trainer 2 years ago |
আমরা আজকে বহেড়া গাছের ফল, গাছের ছাল এবং বিভিন্ন উপকারি অংশ নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেয়া জাক মানব জীবনের জন্য কি? কি? উপকারী হিসাবে কাজ করে থাকে।
আমাশা ও ডায়রিয়া (Diarrhea): আমাদের দেশে প্রায় লোকের দেখা যায় এই রোগ তবে বহেড়ার চুর্ণ এর সাথে পানি মিশিয়ে খেলে দ্রুত্ব উপশম হয়।
হৃদপিণ্ড ও যকৃত: মানব জীবনের জন্য এই রোগ একটি মারাত্মক। আর এই রোগ নিরাময়ের জন্যে বহেড়ার ফল নিয়মিত খেলে হৃদপিণ্ড এবং যকৃতে রোগের সংক্রমণ কমায়। এই রোগের জন্য বহেড়া বিরাট ভূমিকা রাখে।
শ্বেতী রোগ: মানব সৃষ্টির মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের হয়ে থেকে রাত মধ্যে শ্বেতী একটি রোগ। বহেড়ার তেল এই রোগের জন্য অনেক কার্যকারি। কেউ যদি বহেড়ার বিচির শাঁসের তেল বের করে শ্বেতী রোগীর উপর লাগালে গায়ের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
চুলের যত্নে বহেরা: বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে অনেক মানুষের অল্প বয়সে চুল পড়ে এই বিষয় নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। তাদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই। এই বহেড়ার ফলের ভিতরের বিচি বাদ দিয়ে শুধু ১০ গ্রাম ছাল নিয়ে পানি দিয়ে বেটে রশ করে এক কাপ পানিতে গুলে পানি ছেঁকে নিয়ে। তার পর সেই পানি দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। লাগাতারে কিছুদিন চুলে ম্যাসাজ করলে চুল ওঠা বন্ধ হয়।
কৃমি রোগ: যাদের কৃমি রোগ আছে তাদের জন্য বহেড়ার বিচির ছাল এর উপকারিতা কাজে লাগবে নিশ্চয়। তবে জেনে নিন এই বিচির কার্যকারিতা। কাহারো যদি কৃমি রোগ হলে বহেড়া ফলের বিচি বাদ দিয়ে শাঁসের গুঁড়া এবং ডালিমের পাতার রসের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে কৃমি দূর হবে।
সর্দি: কম বেশি প্রায় মানুষের এই রোগ হয়ে থাকে। সে যদি বহেড়া চূর্ণ আধা চা-চামচ এবং সামান্য গরম ঘি মিশিয়ে পুনোরায় গরম করে মধু দিয়ে খেলে দ্রুত্ব স্ররদি নিরাময় হয়।
আরো পড়তে পারেন – জ্বর-সর্দি নিরাময়ের প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়
আয়ু বৃদ্ধি বা দীর্ঘায়ু: বহেড়ার আরো একটি বিশেষ গুন হলো কেউ যদি প্রতি দিন বহেড়া ভেজানো পানি এক কাপ করে নিয়মিত খেলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। ফোলা কমানোয়ঃ কেউ যদি আঘাত পেয়ে ফোলে যায় সেই ফোলা যায় গায় বহেড়ার গাছের ছাল বেটে একটু গরম করে ফোলা স্থানে প্রলেপ দিলে ফুলা কমে যায়।
অনিদ্রা রোগে : বর্তমান সময় প্রায় লোকের অনিদ্রা রোগে ভুগতেছে। অনিদ্রায় রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়? এখন থেকে চমৎকার ঘুমের জন্য বহেড়া খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
বিভিন্ন রোগে: বহেড়া বিভিন্ন রোগের কাজ করে থাকে, পুরাতন সর্দি-কাশি এবং জ্বর দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তার পর শ্বাসকষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কাজ করে থাকে। কেউ যদি নিয়মিত খেলেবেশ উপকার হয়।
আরো পড়ুন – আমলকির উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
ত্রিফলার উপকারিতা
অধিক গুণমান সম্পন্ন ত্রিফলা হলো একটি ভেষজ ঔষধি। ত্রিফলা আমাদের দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, প্রয়োজনীয় ভিটামিন আর মিনারেলস দেয় সেই সাথে আমাদের দেহ পরিস্কার রাখে। এই ফল মানবদেহের একটি মহা ঔষধ। ত্রিফলা মানবদেহের বর্জ্য নিষ্কাশন করা আর ডিটক্সিফাই করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ত্রিফলা কার্যকারী । এবং ত্রিফলা হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ও বদহজম জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে বহেড়া খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক বেশি। এই বহেড়ার গুনাগুন গুলো যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে অকেন রোগ থেকে রেহায় পাওয়া যেতে পারে।
Alert message goes here